
প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন জ্বলছে। প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এই ভবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। তবে আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
সাত নম্বর ভবনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যাচ্ছে, এবং বাইরে থেকেও আগুনের গরম অনুভূত হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভবনটির বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ইতোমধ্যে পুড়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানা গেছে, আগুন লাগা ভবনটিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অফিস ছিল।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগুনের সঠিক কারণ তারা এখনও জানাতে পারেননি। তাদের মতে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুন ছড়ানোর সম্ভাবনা কম, কারণ এর কারণে এতো বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার কথা নয়।
ভবনটির নকশা বিশেষভাবে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য করা হয়েছে, এবং এর ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কারণে হয়তো আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সচিবালয়টি বাংলাদেশে সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হিসেবে পরিচিত, যেখানে ২৪ ঘণ্টা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। এখানে অসংখ্য ক্যামেরা রয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে, সেগুলোর মাধ্যমে আগুন ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছে।
বাহির থেকে সাধারণ মানুষ দু'দিক থেকে আগুনের শিখা দেখতে পেয়েছেন, কিন্তু মাঝের অংশ সম্পূর্ণ নিরাপদ ছিল, যা অনেকের কাছে এটি পরিকল্পিত মনে হওয়ার কারণ। অনেকেই মনে করছেন, হয়তো এটি পরিকল্পিত আগুন।
সাধারণ জনগণ মন্তব্য করেছেন যে, সচিবালয় সর্বদা নিরাপত্তার চাদরে মোড়া থাকে, এবং সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। তাহলে কীভাবে পরিকল্পিতভাবে এখানে আগুন লাগতে পারে? এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে সাধারণ মানুষ সরকারের কাছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানাচ্ছেন।
বহুল পঠিত
পাঠকের পছন্দে শীর্ষ সংবাদ
সর্বশেষ সংবাদ
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ
মন্তব্য করুন 💬